রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে দেশের এক মাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে হালকা বাতাস শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে গুড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে।
শনিবার বেলা ৩ টার দিকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) খোরশেদ আলম। তিনি জানিয়েছেন, সকাল থেকে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ গুমোট পরিস্থিতি বিরাজমান রয়েছে। সাগর স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে একটু বেশি উত্তাল। তবে পানি বেড়েছে বলে মনে হচ্ছে না।
বেলা ২ টার পর থেকে দ্বীপের বাসিন্দারা একে একে আশ্রয় কেন্দ্রে আসা শুরু করেছে জানিয়ে খোরশেদ আলম বলেন, চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবকরা মিলে আশ্রয় কেন্দ্রে আসা মানুষদের সহযোগিতা করছেন। দ্বীপের ২ টি সাইক্লোন সেন্টার, স্কুল, আবাসিক প্রতিষ্ঠান সহ ২২ টি দ্বিতল ভবন, ১৩ টি সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ভবন মিলে মোট ৩৭ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। ইতিমধ্যে দ্বীপে অবস্থানরত ৭ শত পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে চলে এসেছে। অন্যান্যদেরও নিয়ে আসা হচ্ছে।
দ্বীপের বাসিন্দা আবু তালেব জানিয়েছেন, দ্বীপের অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। সার্বিকভাবে সকলেই আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে। সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া সকল ফিশিং ট্রলার ও স্পীড বোটগুলো নিরাপদ স্থানে নোঙ্গর করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে একটু আতংকে থাকাটা স্বাভাবিক।
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর থেকে একটু আতংক থাকলেও দ্বীপবাসির মনোবল ঠিক রয়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে সকল উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে আসা মানুষদের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রশাসনের আলাদা প্রস্তুতি রয়েছে। যেখানে ৩৭ টি আশ্রয় কেন্দ্রে সকলকে আনা হচ্ছে। দ্বীপের জন্য আলাদাভাবে ৫ মেট্টিন চাল ও নগদ ১ লাখ টাকা পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা তুলনামূলকভাবে সেন্টমাটির্নে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। নেভি, কোস্টগার্ড, পুলিশসহ সেন্টমার্টিনে ৩৭টি সরকারি স্থাপনা রয়েছে। তাই সেখানে সরকারি স্থাপনা গুলো সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনী সহযোগিতা করবেন। তারা তাদের স্থাপনা এবং ওষুধপত্র দিয়ে সহযোগিতা করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply